bdupdates.org

বাংলাদেশের সংকলিত সব আপডেট

নির্যাতনের গল্প – ২ (ইকবাল)

বাবা সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর পুরো পরিবারকে যে বুকে আগলে রাখতে চেয়েছিলাম, সেই বুকে তন্ময়ের সিগারেটের ছ্যাঁকায় আমি আমার পরিবারের স্বপ্নগুলোর পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম। কেবলই মনে হচ্ছিল আমি আর বেঁচে ফিরতে পারব না। আমার সাথে আমার দিকে চেয়ে থাকা পুরো পরিবারের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটবে। ঠিক কী কারণে আমাকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, স্বর্গের মতো ক্যাম্পাস জীবনকে নরকের মতো বিভীষিকাময় বানানো হয়েছিল – তা আজো আমি বুঝতে পারি না।

খুব সাদাসিধে একটি জীবনের স্বপ্ন নিয়েই ২০১১ সালে বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং- এ ভর্তি হই। কুয়েট, আইইউটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও বুয়েটকে ঘিরে স্বপ্নের বীজ বুনেছিলাম। আমার ব্যাচের সি-আর (Class Representative) ছিলাম। সেই হিসেবে অন্যান্য ব্যাচের সিআরদের সাথে ভালো বন্ডিং তৈরি হয়। সি-আর দায়িত্ব যথাযথ পালনের জন্য প্রথম সেমিস্টারের শেষ ক্লাসে মনিমুল হক স্যার ক্লাসের সবার সামনে একটি কথা বলেছিলেন যা আমার হৃদয়ে সারা জীবন গেঁথে থাকবে। “আমি প্রায় ৩০ বছর এর বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছি, কিন্তু ওর মতো এমন দায়িত্ববান সি-আর আমি খুব কম দেখেছি”। এর পাশাপাশি বুয়েটে সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে বিভিন্ন ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত হই। এছাড়াও ভার্সিটির যেকোনো প্রোগ্রাম ও কর্মসূচীতে আমার প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ ছিল। এইজন্য আমার ভালো একটা পরিচিতিও ছিল।

আমাদের ব্যাচের অর্পা নামের একটি মেয়ের মারা যাওয়ার পরে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে তার স্মৃতি-চারণ এবং দোয়ার প্রোগ্রামটির অন্যতম আয়োজক এবং সঞ্চালক ছিলাম। এভাবে এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিস, ক্লাস ও বন্ধুদের আড্ডায় বেশ কাটছিল প্রথম বর্ষের দিনগুলো। বুয়েটের আহসান-উল্লাহ হলে আমার সিট থাকলেও, আমার বিচরণ ছিলো এক হলের গণরুম থেকে আর এক হলের গণরুমে, সময় যেতো আড্ডা্য় আর টিভি রুমের ইনডোর খেলাধুলায়। কিন্তু সেদিনগুলো মুহূর্তেই হারিয়ে যায় যখন ছাত্রলীগের একটি লিস্টে আমার নাম আসে।

২০১২ সালের মাঝামাঝিতে ভিসি ও প্রো-ভিসির অপসারণের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের জেরে বুয়েট ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এই আন্দোলন শিবিরের পরিকল্পনায় হয়েছে এমন দাবী করে ছাত্রলীগ একটি লিস্ট বানায়। লিস্ট ধরে ধরে তারা ছাত্রদের উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। তাদের লিস্টে আমার নাম আছে জানতে পেরে সিনিয়র ভাইরা আমাকে হল ছেড়ে বাহিরে কোনো বাসায় থাকার পরামর্শ দেন। আমি খুব আপসেট হয়ে যাই। যে হলে বন্ধুদের নিয়ে পরিবার গড়েছি- সে হল আর বন্ধুদের থেকে কীভাবে আলাদা থাকব। এটি মেনে নেওয়া আমার জন্য খুব কষ্টকর ছিল।

হল থেকে বের হওয়ার মাসখানেক পর দিনটি ছিল ২৯ নভেম্বর, ২০১২। বুয়েট-২০১২ ব্যাচের এডমিশন টেস্টের ঠিক আগের দিন। আমার এলাকা থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক ছোটভাইকে হলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে ফেরার পথে স্কুলের এক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হয়। সে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বন্ধুর অনুরোধে আমাদের ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি শেষে পলাশীর দিকে ফিরতে খেয়াল করি যে, তন্ময় আহমেদ (সিভিল-০৭), এবং আরাফাত (সিএসই-০৭) আমাদেরকে অনুসরণ করছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা দ্রুত প্রস্থানের জন্য রিক্সায় উঠি। কিন্তু তাদের মোটরসাইকেল আমাদের গতিরোধ করে। অনেক অনুরোধের পর তারা আমার বন্ধুকে শুধু ছেড়ে দেয়।

প্রথমে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় আহসানুল্লাহ হলের মাঠে। ওরা দুজনে বেশ কিছুক্ষণ চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি দিতে থাকে। একপর্যায়ে চোখ থেকে চশমা পড়ে যাওয়ায় কিছু দেখতে পারছিলাম না আমি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে। সম্ভবত একটি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আমাকে পেটানো শুরু করে। প্রচণ্ড ব্যথায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পরে হলের মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান ভেসে আসে। আজানের সুরে আমার সব ব্যথা মুহূর্তে বিলীন হয়ে যায়। প্রশান্তিতে মন ভরে উঠে। জীবনে প্রথমবারের মতো বেঁচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা অনুভব করলাম। এই আজানের সুমধুর সুর শোনার জন্য হলেও আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।

এর পর ওরা আমাকে তিতুমীর হলের সামনে একটি টিনশেডে নিয়ে যায়। সেখানে নির্মাণাধীন একটি ভবনের মাল-সামানা রাখার জন্য টিনশেডটি ব্যবহার করা হতো। সেখানে আরাফাত ও তন্ময়ের সাথে যোগ দেয় রনক আহসান (সিএসই-০৪), আমিনুল হক পলাশ (কেমিকাল-০৬), সিয়াম (মেকানিক্যাল-০৯), আরিফ রায়হান দিপসহ (মেকানিকাল-০৯, ২০১৩ সালে নিহত) আরো কয়েকজন। তন্ময়, পলাশ, এবং আরাফাতের দেওয়া আঘাতে আমার মাথা ওই রুমের দেয়ালে বাড়ি খেয়ে বাউন্স ব্যাক করে আসতো এবং আবার লাথি মারতো। অনেকটা ফুটবলের মতো করে ওরা আমার মাথা নিয়ে খেলা করেছে। কিল-ঘুষি-থাপ্পড় এগুলোতে ছিলোই।

রনক আমার চেয়ে সাত ব্যাচ সিনিয়র, এর পরেও ওদের সাথে যোগ দেয়। একজন থামে তো আর একজন পুরো শক্তি নিয়ে আমার উপর নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে হাত আর পা দিয়ে না পেরে, একটা লোহার পাইপ নিয়ে আসে। ওরা লোহার পাইপ দিয়ে আমাকে পেটাতে পেটাতে একসময় হাঁপাতে থাকে। এত নৃশংসভাবে মেরেছিলো যে আমার বাম হাতের কাঁধ থেকে কুনুই পর্যন্ত পুরো অংশটা কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছিল। পিঠের বাম-পাশের অংশ অবশ ও প্যরালাইজড মতো হয়ে গিয়েছিলো।

এসব কিছু ছাপিয়ে যেটি সবচেয়ে বেশি কষ্টের ছিল তা হচ্ছে তন্ময় জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে আমার বুকে ছ্যাঁকা দেওয়া শুরু করে। বাবা আর্মি থেকে অবসরের পর পুরো পরিবারকে যে বুকে আগলে রাখতে চেয়েছিলাম, সে বুকে তন্ময়ের সিগারেটের ছ্যাঁকায় আমার পরিবারকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলোর পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম। কেবলই মনে হচ্ছিল আমি আর বেঁচে ফিরতে পারব না। আমার সাথে আমার দিকে চেয়ে থাকা একটি পরিবারের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটবে।

বুয়েটে ভিসি বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তদের প্রতি ক্ষোভের জেরেই মূলত তারা আমাদের মতো সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতন করছিল। তন্ময় আমাকে দিয়ে আমাদের বিভাগের একজন শিক্ষক (জাহাঙ্গীর স্যার) ও একজন শিক্ষিকার (স্নিগ্ধা ম্যাডাম) বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। ম্যাডাম হিজাব পরতেন। তিনি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন শিক্ষার্থীদের কাছে। জাহাঙ্গীর স্যার সম্ভবত জামায়াতের সাথে জড়িত ছিলো। ওরা এই দুইজনের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল এবং আমাকে দিয়ে বলাতে চাচ্ছিল যে ওনারা ভিসি বিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছিলেন। আমি বার বার বলছিলাম যে ওনাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুই জানা নেই। এক পর্যায়ে তন্ময় সিগারেট ধরায়। আর সেই জ্বুলন্ত সিগারেট ধরে রাখে আমার বুকের উপরে। একটা সিগারেট নিভে গেলে সে আবার নতুন আর একটা সিগারেট বের করতো। এভাবে কয়েকটি সিগারেটের জ্বলন্ত ছ্যাঁকায় আমার বুকের চামড়া পুড়ে যায়।

প্রায় দুই ঘণ্টা একটানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পরও উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ায় তারা আমার আব্বুকে ফোন করে। তাকে আমাকে ধরে এনে নির্যাতনের বিষয়টি বলে চাপ দিতে থাকে। মানুষ কতোটা জঘন্য হলে একজনকে নির্যাতন করে তার বাবাকে জানিয়ে চাপ দিতে পারে তা আজো ভাবতে আমার ঘেন্না লাগে। তন্ময় আমার বাবাকে ফোন করে বলে, “আপনার ছেলে যদি আমাদের কথা না শুনে, তবে তাকে বস্তায় ভরে পলাশীর এই রাস্তা দিয়ে রাতের বেলায় যে ট্রাক যায়, তার নিচে ফেলে দিবো”

আমার বাবা আতঙ্কিত হয়ে ঢাকায় আমার একজন লোকাল গার্জিয়ানকে অবহিত করেন। তিনি DSW দেলোয়ার স্যারকে জানানোর পর স্যার ব্যাপারটিকে গুরুত্বই দেননি। যেন হরহামেশা এরকম ঘটছে। তিনি বললেন, টেনশন করার কিছু নেই, একটু মাইর দিয়ে ছেড়ে দিবে। একজন দলকানা মেরুদণ্ডহীন শিক্ষক কত নিচে নামতে পারেন উনাদের না চিনলে কখনো বিশ্বাস করতে পারতাম না।

এই ঘটনার পর আমার জীবন আর কখনো আগের মতো হয়নি। নিয়মিত ক্যাম্পাসে গিয়ে ক্লাস করাটাও আমার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন পুরো একটা সেমিস্টার আমি ঠিকভাবে ক্লাস করতে পারিনি। ফলে পরীক্ষাগুলোও খারাপ হতে থাকে। যে আমি সারাদিন ক্লাস আর এক্সট্রা-কারিকুলাম একটিভিটিজে ব্যস্ত থাকতাম, এক হল থেকে অন্য হলে দৌঁড়াতাম, সে আমি হল, ক্যাম্পাস আর ক্লাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। যেন প্রাণহীন একটা শরীরের বোঝা বয়ে চলেছিলাম আমি।

এরপর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন আমার ব্যাচমেট ও বিভাগের তানভীর রায়হান একবার আমার পথ আটকায়। তানভীরের বাড়ি ছিল খুলনায় এবং সে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল। তার সাথে ছিল মেকানিক্যাল-০৯ ব্যাচের সিয়াম। তারা আমাকে প্রচন্ডভাবে চড়-থাপ্পড় দেয় এবং আমি শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত কিনা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। আমার ফোন চেক করে কিছু পায় না। আমি মা-বাবার অসুস্থতাসহ পারিবারিক বিষয়গুলো বলে তাদের থেকে ছাড়া পাই।

পরিবার আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল। আমি আদৌ বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করতে পারব কিনা এই ভয় হচ্ছিলো তাদের। বাবা এতো শক্ত একজন মানুষ হয়েও আমার ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। প্রথমবারের ধকল কাটিয়ে আমি যখন আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই, বাবা বাচ্চা ছেলের মতো কান্না শুরু করলেন। বাবার কাছে আমার বুয়েটে পড়ার চেয়ে বেঁচে থাকাটিই বেশি জরুরি ছিল। যখনই বুয়েট ক্যাম্পাসে কিছু হয়েছে শুনতেন, আমাকে সাথে সাথে বাড়িতে চলে যেতে বলতেন।

পেছনে ফিরে তাকালে আমার এখন অবাক লাগে যে আমি বুয়েট থেকে পাশ করে কিভাবে বের হলাম। আমার বেশিরভাগ বন্ধুই আমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট নিয়ে বের হয়েছে। শেষের দুই বছর আমাকে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে। নাহলে আমার পাশ করতে এক থেকে দেড় বছর বেশি সময় লাগত। বর্তমানে আমি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করছি। অধিক পরিশ্রমের কারণে আল্লাহ আমার জন্য বিষয়টি সহজ করে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

বর্তমান ইউনিভার্সিটির সুবিশাল ক্যাম্পাসে বসে মাঝেমাঝে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের সেই সময়টির কথা ভাবি। তন্ময় আর আরাফাত এরাও নিশ্চয়ই একসময় মানুষ ছিল। কিন্তু নোংরা ছাত্ররাজনীতির সংস্পর্শে এসে মেধাবী ছেলেগুলো মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুতে পরিণত হয়। সেদিন দিপ উপস্থিত থাকলেও আমাকে সে আঘাত করে নি। বরং তন্ময়ের মতো বড় ভাইদের নিকৃষ্ট নির্যাতন দেখে ও হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মনে হচ্ছিলো। দিপও হয়তো সেদিন থেকে ধরে নিয়েছিলো যে, উপরের নজরে আসতে হলে তাকেও এমন নিষ্ঠুর নির্যাতন করতে হবে। যার শেষ পরিণতিতে তার অকাল মৃত্যু কারো অজানা নয়।

আমাকে নির্যাতনের ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের অনেকেই জড়িত থাকলেও চশমা না থাকায় অনেককে সনাক্ত করতে পারি নি। যাদেরকে আমি চিনতে পারি তারা হলো-

১. আমিনুল হক পলাশ (কেমিকাল’ ০৬)

২. তন্ময় আহমেদ (সিভিল’ ০৭)

৩. রনক আহসান (সিএসই’ ০৪)

৪. তানভীর মাহমুদুল হাসান (আরাফাত) (সিএসই’ ০৭)

৫. সিয়াম আহমেদ (মেকানিকাল’ ০৯)

৬. শেখ মোঃ তানভীর রায়হান (সিভিল’ ১১)

এখন আমার একটাই প্রত্যাশা। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের তদন্ত ও বিচারের জন্য একটা আলাদা কমিশন বা ট্রাইবুনাল করুক। পৃথিবীর অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে না। এই ঘটনাগুলোর বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত হলেই একটা নিরাপদ বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব হবে।

কে আই এম ইকবাল

পিএইচডি গবেষক, ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র

সিভিল-২০১১ ব্যাচ, বুয়েট

ফুটনোট: ইকবালের উপরে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা ও নির্যাতনের সময়ে অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা ‘সোচ্চার’ এর পক্ষ থেকে যাচাই করা হয়েছে। তবে নির্যাতনে তাদের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা ইকবালের জবানবন্দী ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে যাচাই করা যায় নি এবং অভিযুক্তদের মন্তব্য নেওয়ার জন্য সোচ্চারের পক্ষ থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

সম্ভাব্য শাস্তি: বাংলাদেশ দন্ডবিধি ৩০৭ ধারা অনুযায়ী অপরাধ প্রমানিত হলে নির্যাতনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ৩২৫ ধারা অনুযায়ী সর্বনিম্ন সাত বছরের কারাদন্ড ও জরিমানা হতে পারে। কর্তব্যে অবহেলা এবং নির্যাতনে সহায়তার কারণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১১৫, ১১৬ এবং ১১৯ ধারা অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।

নির্যাতনের গল্প – ২ (ইকবাল)
Scroll to top